ফেসিয়াল ক্লিনজার এর গুরুত্ব
ঝকঝকে তকতকে ঘর যেমন সবার প্রিয় তেমনি সুন্দর স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়।
গুরুজন রা একটা কথা বলতো আগে ভালো খাবারের অভ্যাস, স্বাস্থ্য ও মনের যত্ন তারপর বাকি সব।
আমরা সুন্দর বলতে বুঝি ফর্সা ত্বক। কিন্তু এরজন্য যত ক্ষতিকর স্কিন আইটেম আছে সবই ব্যাবহার করি!
আমাদের আবহাওয়াই যে পরিমান ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ আছে এবং তার সংস্পর্শে আমাদের ত্বক আসছে তাতে বিভিন্ন সমস্যাই ভোগা অবাক কিছু নয়।
আমাদের ত্বক শরীরের সবচয়ে বৃহৎ এবং বাইরের অর্গান।
তো আমাদের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম এ গরমিল থাকলে সেটাতে যেমন প্রভাব পরে তেমনি এই ত্বক ঠিকমত পরিষ্কার না থাকলে, নানা ক্ষতিকর কেমিক্যাল প্রবেশ করলে আরো বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়।
হরমোনাল অথবা শারীরিক অন্যান্য সমস্যা না থাকলে কিছু বেসিক যত্নের মাধ্যমে আমরা ত্বক ভালো রাখতে পারি।
কিভাবে ?
ত্বক র মধ্যে আমরা ফেসিয়াল ক্লিন্সিং কে বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই সবার আগে হাত ভালো করে ক্লীন করতে হবে।
ফেস ক্লীন র জন্যে অনেক রকম ক্লিনজার পাওয়া যায় মার্কেট এ।
কেনার সময়:
ত্বকের ধরন
বয়স
আবহাওয়া র প্রকৃতি ; মনে গরম অথবা শীতকাল
বেশি বাইরে যাওয়া হয় অথবা ঘরে বেশি থাকা হয়।
এই ব্যাপার গুলো মাথায় রাখলে ভালো।
ত্বকের ধরন কিভাবে বুজবো?
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর মুখ যদি তেল এ চপ চপ করে নিঃসন্দেহে এটা অয়েলি স্কিন।
যদি কপাল, নাক আর থুতনি তেলতেলে থেকে এটা কম্বিনেশন স্কিন।
আর মুখ মরুভূমি র মত শুষ্ক হলে সবসময় ড্রাই স্কিন।
বয়স একটা ব্যাপার, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বক শুষ্ক হতে থাকে এইজন্য অয়েলী স্কিন অনেক টা কার্যকরী ত্বকে বয়সে র ছাপ যেমন রিংকেলস , শুষ্কতা রোধ করতে।
অনেক রকম ক্লিনজার কোনটা ভালো!
টেকনিক্যাল ব্যাপার গুলো অত না বুজলে বেসিক হলো এমন কোনো ক্লিনজার না ব্যাবহার করা যেটা স্কিন র নাচারাল অয়েল কে পুরো দুর না করে দেয়।
সমস্যা বুঝে কোনো উপাদান ভালো এবং কতটুকু ভালো সেটা খেয়াল করা।
যেমন: একনে অথবা ব্রণের জন্য সালিসায়লিক অ্যাসিড যুক্ত ক্লিনজার ভালো।
ডবল ক্লিনসিং কি?
এটা ত্বকের যত্নে বেস্ট একটা সমাধান। নিয়মিত এইভাবে ফেস ক্লিন করার মাধ্যমে ত্বক ভালো থাকে আর ত্বকের গভীরে যে ক্ষতিকর উপাদান থাকে তা দূর করে ত্বক কে স্বাস্থ্য উজ্জল করে।
এর জন্যে অয়েল বেসড কোন কিছু যেমন নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল দিয়ে আগে পুরো ফেস মেসেজ করে এরপর কটন অথবা ক্লিজিং প্যাড দিয়ে পুরো মুখ ক্লিন করতে হয়।
এরপর রেগুলার যে ফেস ওয়াশ আছে টা দিয়ে ভালো করে আবার পুরো মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
প্রাকৃতিক ক্লিনজার
অনেকে কেমিক্যাল ক্লিনজার অথবা ফেইস ওয়াস ব্যাবহার করতে পারেনা ।
যাদের ত্বক সেনসিটিভ এবং অনেকে প্রাকিতিক সমাধান পছন্দ করেন তাদের জন্য :
লেবু অথবা লেমন
টমেটো
Raw milk খুব ভাল ক্লিন করে
মধু
বেসন
ময়দা
উপকারী উপাদান , ফেসিয়াল ক্লিনজার এ
কোলাজেন
Glycolic acid –
খুবই উপকারী AHA (Alpha hydroxy Acid)
Vit C
রেটিনোল অথবা Vit A
Hyaluronic acid
জোজোবা ওয়েল
Niacinamide
ফেসিয়াল ক্লিনজার যেটাই ব্যাবহার করা হোক সঠিক নিয়ম এ করলে উপকার পাওয়া যায়। যেমন যাদের ড্রাই স্কিন তারা একটু মাইল্ড ফেইস ওয়াশ ব্যাবহার করতে পারেন।
যাদের কম্বিনেশন তারা ওয়েদার বুঝে গরমে নিম অথবা টি ট্রি টাইপ এবং ঠান্ডা র সময়ে মাইল্ড ফেইস ওয়াশ ব্যাবহার করতে পারেন।
Foaming face wash অনেকে ব্যাবহার করেন।
এক্ষেত্রে এটা হতে নিয়ে অল্প পানি দিয়ে আগে ফোম করে এরপর ফেস এ দিতে হবে নাহলে ফেস অতিরিক্ত ড্রাই হতে পারে।
ক্লীন্সিং র সবচে বেসিক হলো যথেষ্ট পানি পান করতে হবে।
পানি আমাদের দেহের ক্ষতিকর উপাদান বের করতে সাহায্য করে।
তাই পুষ্টি কর খাবার আর নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে ভালো থাকুন ।